১. প্রার্থনা করার পূর্বশর্ত হল সৃষ্টিকর্তার প্রতি সেইরকম মনযোগ দেয়া । আমি মনে করি মসজিদ, মন্দির গির্জা তথা ধর্মীয় উপাশনালয়গুলোতে মানুষ যতটা না মনযোগ দিয়ে প্রার্থনা করে তারচেয়ে হাজারগুন বেশি মনযোগ দিয়ে প্রার্থনা করে হাসপাতালের চার দেয়ালের ভেতরে ।
২. বাসর ঘর গুলো যতটা না এফেকশনেট চুমু দেখেছে তারচেয়েও বেশি এফেকশনেট চুমু দেখেছে এয়ারপোর্ট গুলি ।
৩. আমি মনে করি ‘গুড ডে’ অথবা ‘ব্যাড ডে’ বলে কোন টার্ম নেই সবই আমাদের চিন্তা-ভাবনার উপ্রে ডিপেন্ড করে । যেমন- লোকাল ট্রেনের ভিড়ের মধ্যে ট্রেনে উঠলে আপনার দম বন্ধ হয়ে আসছে বলে মনে হবে অথচ ঐ ভিড়ওয়ালা ট্রেনেই যদি আপনার প্রেমীকার সাথে দেখা করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উঠেন তবে দমবন্ধ ঐ সিচুয়েশনটাও ডিজে পার্টির মত উত্সব মুখর মনে হবে ।
৪. পিজ্জা জিনিসটা সারাজীবন আমাকে কনফিউজ করেছে । পিজ্জাকে আমার সামনে (আই থিংক সবার সামনেই) প্রথম আনা হয় চারকোনা বক্সে । আমি তখন মনে মনে ভেবেছিলাম পিজ্জা বুঝি চারকোনা । ঢাকনা খুলে দেখি, না, পিজ্জা আসলে গোলাকার । গোলাকার ভেবে রুটির মত খাবো ভেবেছিলাম । কিন্তু খেতে গিয়ে দেখি ত্রিভুজাকৃতি । তার মানে দাড়ালো ভাবলাম চারকোনা, হল গোলাকার, খেতে গিয়ে দেখি আসলে ত্রিভুজাকার !
আমার কাছে জীবনের মানে কিংবা সামনে দাড়ানো মানুষগুলোকে পিজ্জার মত মিসটেরিয়াস লাগে । Look different .. Appear different .. & .. Behave absolutely different :O
আইরোনি ইজ,
…সারাদিন নারী-পুরুষের সমতা নিয়া ফেসবুকে বিশারদ গিরী দেখাই আর সন্ধ্যার পর কোন কারনে গার্লফ্রেন্ড বাড়ির বাইরে আছে শুনলেই মেজাজ বিগড়ায়া যায় ! তার মধ্যে নিজের আধিপত্য জোর কইরা বিস্তার করার চেষ্টা করি !
…সারাদিন তার লগে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা হয় অথচ পাঁচ মিনিট তার ফোনে ওয়েটিং দেখলেই ‘ভালবাসার মাইরে বাপ !’ অবস্থা হই যায় !
…সোনা, ময়না জানু কইয়া ডাকলে পরানটা জুড়ায়া যায় কিন্তু রাগের মধ্যে এসব বললে রাগ দিগুন হই যায় !
…বান্ধবী যখন ফোন দিয়া তার বয়ফ্রেন্ডের বিভিন্ন দোষাবলী শেয়ার করে তখন একবাক্যে উপদেশ দেই, ‘লাথি মার হালারে, দুন্নিয়াই কি পোলার অভাব পড়ছে !’ অথচ মাঝেই মাঝেই বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ডের মত ভুল নিজের গার্লফ্রেন্ডের সাথেও কইরা ফালাই !!!